ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ থাকলেও ১৯৬২ সালের পর আর বড় ধরনের লড়াই দেখা যায়নি। তবে আবার দীর্ঘ ৪০ দশক পর চলতি বছরে গড়ে উঠেছে যুদ্ধের সম্ভাবনা। সোমবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও সেনা হতাহতের খবর পাওয়া যায় তারপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত।
করোনা ভাইরাস সংকট তৈরি হওয়ার পর থেকে চীনের সাথে আমেরিকার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় আমেরিকার সাথে ভারতের মিত্রতা বা সামরিক সহযোগিতা একদমই পছন্দ নয় চীনের। এর ফলে ভারত ও চীনের মধ্যে একটি শত্রুতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
বর্তমানে ভারতের সাথে আমেরিকা , জাপান, ইসরায়েল, অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ও সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। অন্যদিকে রাশিয়ার সাথে চীনের বন্ধুত্ব থাকলেও ১৯৬২ সালেও রাশিয়া ভারতকে সমর্থন করেছিল এবং বর্তমানে ভারত চীন যুদ্ধ লাগলে রাশিয়া সামরিকভাবে ভারতকে সমর্থন দেবে এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে চীনের সেরকম আন্তর্জাতিক মিত্র নেই। রাশিয়া চীনের বন্ধুরাষ্ট্র, কিন্তু ১৯৬২ সালে রাশিয়া কিন্তু চীনের বদলে ভারতকেই সমর্থন করেছিল। বর্তমানে চীনের বন্ধু হিসেবে পাকিস্তানই থাকতে পারে। তবে পাকিস্তান ছাড়াও ইদানিং কালে নেপালের সাথে ভারতের সম্পর্কও খুব একটা ভালো নয়। এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চীনের কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে তাই উত্তর কোরিয়া চীন কে সাপোর্ট করতে পারে, সুতরাং চীনের পক্ষে থাকতে পারে পাকিস্তান, নেপাল এবং উত্তর কোরিয়া