হয়তো এটিকে ওয়াচ টাওয়ার বলে আমরা অনেকেই ভুল করব, কিন্তু এটার ইতিহাস আছে। এই ধরনের টাওয়ারকে বলা হয় semaphore tower. টেলিগ্রাম আবিষ্কারের আগে এই টাওয়ারের মাধ্যমেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে খবর পাঠাত।
চলুন জেনে নিই, কীভাবে কাজ করত এই semaphore tower?
টেলিগ্রাম আবিষ্কারের আগে চিঠির মাধ্যমে বার্তা বিনিময় হত। কিন্তু তা জরুরি প্রয়োজনের সময় ভীষণ অসুবিধাজনক, কারণ তাতে অনেক সময় লাগত। তখনই এই semaphore এর উদ্ভব হয় ফ্রান্সে, সম্ভবত ১৭৯২ সাল নাগাদ।
ধরুন শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় প্রতিনিয়ত দরকারি তথ্য পাঠাতে হয়। প্রতি ৮-১০ মাইল অন্তর অন্তর একটি করে টাওয়ার বসানো হল। প্রথম টাওয়ারটা শিলিগুড়িতে, মাঝে ধরা যাক ইসলামপুর, রায়গঞ্জ, মালদা, রামপুরহাট এভাবে শেষ টাওয়ারটা কলকাতায়। যখন কোনো মেসেজ পাঠাতে হত, তখন শিলিগুড়ি থেকে ভিসুয়াল সিগন্যাল দেওয়া হত। সেই সিগন্যাল ইসলামপুরের টাওয়ার থেকে একজন টেলিস্কোপে দেখে ডিকোড করত। সেটা সে আবার পরের টাওয়ারকে দেখাত। ইসলামপুর থেকে রায়গঞ্জ, রায়গঞ্জ থেকে মালদা, মালদা থেকে রামপুরহাট এভাবে কিছু সময়ের মধ্যে খবরটি পৌঁছে যেত কলকাতায়।
যদিও উত্তরবঙ্গে এরকম টাওয়ার চোখে পড়েনি। পুরুলিয়ার জয়চণ্ডী পাহাড়ে একটি semaphore tower দেখতে পাওয়া যায়। টেলিগ্রাম আসার পর এর ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।
(তথ্য সংগৃহীত)
